অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।

জ্ঞানের কোন শেষ নেই । জ্ঞান অনন্ত, বিশ্বের সমস্ত জ্ঞান একটি জীবনে আরোহন করা কোনমতে সম্ভব নয়। তবে যতদিন মানুষ বাঁচে ততদিন কিছু না কিছু শেখে। জন্মের সময় একটি শিশুর মন থাকে সাদা কাগজের মতো। কিন্তু সেই জন্ম মুহুর্ত থেকে মানুষ কিছু না কিছু শিখতে থাকে। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তার শিক্ষা কাল চলে। এই জগতে যথার্থ জ্ঞানী ব্যক্তির খুবই অভাব। এবং যিনি যথার্থ জ্ঞানী ব্যক্তি হবেন তিনি মিতভাষী, পরোপকারী, বিনয়ী, এবং সৎ হবেন ।তার তাদের জ্ঞানের জাহির করেন না অন্যদের কাছে। কিন্তু আর একদল মানুষ আছে যাদের জ্ঞান এর পরিমান খুবই স্বল্প । কিন্তু তারা তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী জন মনে করে । তারা অতি বাচাল স্বভাবের। এরা খুবই উদ্ধত এবং আত্মকেন্দ্রিক হয়। সমুদ্রের সেই অংশ অতি গভীর যে অংশে কখনোই ঢেউয়ের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায় না । কিন্তু তীরবর্তী অগভীর সমুদ্রের ঢেউ ও উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। সেইরকম অল্পবিদ্যার অধিকারী মানুষগুলো অনেকটা অগভীর সমুদ্রের মতো। এদের বাচালতা অনেকটা ঢেউয়ের উচ্ছ্বাসের মত। কিন্তু অল্প জ্ঞানী মানুষগুলোর তর্জন গর্জন যতই হোক তাদের মিথ্যা অহংকার ও ঠাটবাট শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় সাধারণ মানুষের কাছে। সকলের কাছে নিজের স্বরূপ উদঘাটিত হয়ে পড়লে হাস্যস্পদ হতে হয়। এবং সকলের কাছে চিরকাল ছোট হয়ে থাকতে হয়। তাই অল্প বিদ্যা সমাজের কাছে খুব ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে। তাই সমাজে যারা নিজেদের জ্ঞানের জাহির করে তাদের থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয় । কারণ এই জাতীয় মানুষের সংখ্যা সমাজে অত্যধিক।

x

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts
Scroll to Top