আমাদের পৃথিবীতে কতগুলি মহৎ গুনাবলী মধ্যে অন্যতম গুন হলো ক্ষমা । যা পৃথিবীর প্রচলিত ধারণা গুলির মধ্যেও অন্যতম প্রচলিত ধারণা । ক্ষমাই পরম ধর্ম ।সমাজের পাপী ,অন্যায়কারী ব্যক্তিকে ক্ষমা প্রদর্শন করাই মানুষের অন্যতম মহৎ ধর্ম হিসাবে বিবেচিত । কিন্তু এই ক্ষমাই কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতা প্রকাশ করে। দুর্বলতার পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়। ক্ষমা প্রদর্শনের দ্বারা অনেক সময় মহত্ব দেখানোর বদলে নিজের দুর্বলতাই প্রকাশিত হয়ে যায়। তাই এইসব ক্ষেত্রে কঠোর ও নিষ্ঠুর হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায়একান্ত কর্তব্য ।
আমাদের এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য দুর্বল লোকেদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এইসকল অত্যাচারিত নিপীড়িত ব্যাক্তিগন কখনোই এই অত্যাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় না। তারা সর্বদা নীরবে অন্যায় অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে। ফলে অত্যাচারির অত্যাচার আরো বৃদ্ধি পায়। কিন্তু অত্যাচারীগন কখনোই এর প্রতিবাদ করে না বা করার সাহস পায় না। এরা ক্ষমার মহত্ত্ব প্রচার করে অত্যাচারীদের ক্ষমা প্রদর্শন করে। যার দ্বারা তাদের মহান চরিত্রের বদলে বারবার বেরিয়ে আসে ভীরু, দুর্বল চরিত্রটি।
তাই ক্ষমা মহৎ গুন হওয়া সত্ত্বেও তা কখনো কখনো দুর্বলতা পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়। ক্ষমার সূক্ষ্ম আবরণ ভেদ করে মানুষের ভীরু দুর্বলচেতা মনের রূপটি প্রকাশিত হয়ে পড়ে। ফলে প্রত্যক্ষভাবে অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া না হলেও পরোক্ষভাবে অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া হয় এবং অন্যায়কারী অত্যাচারীতের দুর্বলতার বিশেষভাবে বুঝতে পেরে আরও বেশি অত্যাচারিত হয়ে পড়ে । তাই এইসব ক্ষেত্রে নির্ভীক ও দৃঢ়চিত্তে অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই উচিত । এতে ক্ষমা নামক মহত্ত্বের শ্বেতাসন বিন্দুমাত্র কলঙ্কিত হয় না। বরং তা আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।