পৃথিবী বৈচিত্র্যময়। কোথাও সবুজ বনানী আবার কোথাও রুক্ষ মরুভূমি।কোথাও অধিক বৃষ্টিপাত, কোথাও কঠোরতা রুক্ষতা । এই রকমই একটি অঞ্চল হল চেরাপুঞ্জি, যেখানে পৃথিবীর সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। অপরদিকে সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর সব থেকে কম বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চল। তাই চেরাপুঞ্জি থেকে কিছুটা মেঘ যদি গোবি মরুভূমি বুকে ধার দিয়ে যায় তবে সেখানে প্রাণের স্পন্দন সম্ভব ।
প্রকৃতির নানা বৈচিত্রের মত আমাদের এই পৃথিবীতে ও নানা বৈচিত্র্যময় মানুষের অস্তিত্ব রয়েছে । এদের মধ্যে কেউ ধনী, কেউ দরিদ্র ,কেউ উচ্চ কূলসম্পন্ন ,কেউ বা নীচ। এইরকম বৈচিত্র্যময় পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে পার্থিব সম্পদের অসম বন্টনের ফলে ।বিশেষত ধনী-দরিদ্র শ্রেণীর সৃষ্টির মূল কারণ হল পার্থিব সম্পদ বা অর্থের অসম বন্টন ।এই অসম বন্টন এর ফলে ধ্বনি হচ্ছে ধনীতর আর দরিদ্র হচ্ছে হতদরিদ্র। তারা নিজেদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণেও ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে ধনী থেকে ধনীতর হতে থাকা ব্যক্তিগণ বিলাসের স্রোতে গা ভাসাচ্ছে ।এই রকম জীবনযাত্রা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে মানুষে মানুষে বিদ্বেষ ও দূরত্ব । যার অন্যতম প্রধান কারণ এই পার্থিব ও সম্পদের বণ্টন বৈষম্য।
পৃথিবী সুস্থ ও সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য পার্থিব সম্পদ গুলির সুষম বন্টনের প্রয়োজন। যাদের অর্থ ও সম্পদের প্রাচুর্য আছে তারা যদি তাদের অর্থ-সম্পদ ,যাদের নেই তাদের সাহায্যে ব্যয় করে, তবে এই পৃথিবীতে অসম অর্থ বন্টন জনিত সমস্যা গুলি সমাধান সম্ভব। পৃথিবী আবার সুস্থ, সুন্দর, ও শান্তিময় হয়ে উঠবে। কারণ সকলের কাছে যদি সমান ধরনের অর্থ থাকে তবে অর্থের প্রাচুর্য ও অসম বন্টন নিয়ে মানুষে মানুষে বিদ্বেষ বা দূরত্বের সৃষ্টি হবে, যা সৃষ্টি করার কুশলীরা হবেন ধনী- দরিদ্রহীন সকল মানুষেরাই ।