জন্ম-মৃত্যু বিধাতার দ্বারা নির্দিষ্ট । কিন্তু জন্ম থেকে মৃত্যুর মধ্যে যেটুকু সময় মানুষ পায় সেই সময়টুকু কে কর্মময় করে তুলতে হবে। কারণ মানব জন্ম দৈবাধীন কিন্তু কীর্তি অর্জন তার এবং কীর্তি অর্জিত হয় নিজের পৌরুষে- নিষ্ঠায়- একাগ্রচিত্তে সাধনায়। কারণ মানুষের জন্ম বিধাতার লিখন। কিন্তু কর্মের দ্বারা মানুষ নিজের ভাগ্য স্থির করে। মহাভারতের একটি উজ্জ্বলতম চরিত্র মহাবীর ও দানবীর সুতপুত্র কর্ণ। যিনি নিজের দীপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করেছিলেন যে সুত বা সুতপুত্র আমি যা হই না কেন তা দেবোতার অধীন কিন্তু পৌরুষ আমার অর্জিত সম্পদ কিন্তু আমরা দেখতে পাই যে কর্ণ আজও সকলের মধ্যে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত।
যার জীবন কর্মময় তাকে সকলে মনে রাখে। তার কর্মের দ্বারা ইতিহাস তাকে স্মরণ রাখে। যথার্থ গুনী, কর্মট ,পরিশ্রমী মানুষকে ইতিহাস কখনো ভোলে না। প্রকৃতপক্ষে জাত, কুল মানুষের সৃষ্টি । কৃত্রিমভাবে মানুষে মানুষের ভেদাভেদ সৃষ্টির জন্য জাতপাতের সৃষ্টি হয়েছিল।