মাত্র ১৯ বছর বয়সেই দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতলেন কেকো গফ। গতকাল আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ফাইনালে বেলারুশের আরিয়ানা সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।
প্রথম সেটটি সাবালেঙ্কা জিতলেও পরের দুটি সেটে গফ দাপট দেখান। দ্বিতীয় সেটে ৬-৩ এবং তৃতীয় সেটে ৬-২ ব্যবধানে জয়ী হন তিনি।
খেলা শেষে আনন্দে কেকো গফ কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, “আমি এখন নিউ ইয়র্ক সিটিতে রয়েছি। সদ্য আমার ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতলাম। যাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। যাঁরা যাঁরা ফাইনালটা দেখলেন তাঁদের সকলেও জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।”
১৯৯৯ সালে আমেরিকার সেরেনা উইলিয়ামস ১৮ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতছিলেন। এরপর দ্বিতীয় কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে এই খেতাব জিতলেন কেকো গফ।
গফ ২০১৯ সালে ১৫ বছর বয়সেই উইম্বলডনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। গত বছর ফরাসি ওপেনের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন তিনি। এবার অবশেষে খেতাব জিতে গেলেন।
ইউএস ওপেনের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, এই ইউএস ওপেনের মঞ্চেই একবার গ্যালারিতে খেলা উপভোগ করছিলেন ছোট্ট কেকো গফ। এরপর গতকাল সেই আর্থার অ্যাশ কোর্টেই খেতাব জিতে নিলেন।
ক্রমতালিকায়ও তিনে উঠে এলেন এই তরুণী।
কেকো গফের এই সাফল্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় অর্জন। তিনি বিশ্ব টেনিসে নতুন এক যুগের সূচনা করেছেন।
আজ পুরুষদের সিঙ্গলসের ফাইনালে মুখোমুখি হবেন নোভাক জকোভিচ ও ড্যানিল মেদভেদেভ। ২০২১ সালে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন ২ জনে। সেবার জোকারকে হারিয়ে দিয়েছিলেন ড্যানিল। এবার কি হবে? উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ২৩টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক জোকার। ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। সেমিফাইনালে বেন শেল্টনকে হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে মেদভেদেভ হারিয়েছিলেন কার্লোস আলকারাজকে।