“Now I never so myself play,but I felt that this player is playing with a style similar to mine”
-Sir Donald Bardan.
ভূমিকা
ক্রিকেট বিষয় সচিন রমেশ তেন্ডুলকর ‘ মাস্টার ব্লাস্টার ‘নামে অভিহিত । অত্যল্প বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটার পৃথিবীর ক্রিকেটের ইতিহাসে এক দিবসীয় কিংবা টেস্ট উভয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রান ও শতরানের একচ্ছত্র অধীশ্বর। সেই অপরাজেয় ক্রীড়া- ব্যক্তিত্ব 2013 খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক জাতীয় প্রভৃতি খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। 200 তম টেস্ট ম্যাচ খেলে চোখের জলের মুম্বাইয়ের (বোম্বাই) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গ্রহণ করেছেন।
জন্ম ও শৈশব
মুম্বাই সম্পূর্ণ তেন্ডুলকর পরিবারে তার জন্ম হয় হাজার 1973 খ্রিস্টাব্দে 24 এপ্রিল।শচীন তেন্দুলকরের পিতা রমেশ তেন্ডুলকর, মাতা রজনী তেন্ডুলকর, এবং তার দুই দাদা নীতিন তেন্ডুলকর ও অজিত তেন্ডুলকর। তার দাদা মাত্র 11 বছর বয়সে ( 1984) দাদারের শিবাজি পার্কে দ্রোণাচার্য রমাকান্ত আচারেকারের ক্যাম্পে তাকে ভর্তি করেন ক্রিকেট খেলার জন্য। কোচিং সেখানকার শারদ আশ্রম বিদ্যামন্দিরে লেখাপড়া করেন মাত্র 14 বছর বয়সে মাদ্রাজের এম.আর.এফ ফাউন্ডেশনে বোলিং শিক্ষা নিতে গেলে এক অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলার তাকে ব্যাটসম্যান হওয়ার সুপরামর্শ দেন ।1988 খ্রিস্টাব্দের লটারিজ আরতো স্কুল প্রতিযোগিতায় তিনি এবং বন্ধু বিনোদ কাম্বলি সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলের বিরুদ্ধে 684 রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়ে তোলে খেলায় শচীনের 326 রান।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সচিন
1988 খ্রিস্টাব্দে মাত্র 15 বছর বয়সে মুম্বাই ক্রিকেট দলে যোগদান করেন ।প্রথম সুযোগেই গুজরাট দলের বিরুদ্ধে শতরান করে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। 1988 – 89 মরশুমে শচীন রমেশ টেন্ডুলকার সর্বোচ্চ রানকারী রূপের সকলের নজর কাড়েন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যোগদান
1989 খ্রিস্টাব্দের ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে ভারতীয় দলে এক মাত্র 16 বছর বয়সে যোগ দেন। প্রথম খেলায় করাচি টেস্টে মাত্র 15 রান করে ওয়াকার ইউনিস এর বলে আউট হন। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি তার প্রতিভার স্ফুরণ ঘটান। 1990 খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জীবনে প্রথম টেস্টে শতরান করেন এবং 1994 খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে শতরান করেন (16 ই মার্চ 2012)। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি 51টি শতরান একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে 49 টি শতরান করেন।
বিশ্বজয়ী শচীন তেন্ডুলকর
কেনিয়া আর নামিবিয়া ছাড়া টেস্ট খেলিয়ে সব ক-টি দেশের বিরুদ্ধে তিনি শতরান করেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন। আর একদিনের আন্তর্জাতিক এ 49 টি শতরানের মধ্যে প্রায় সবকটি দেশের বিরুদ্ধে দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন ও এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে 9টি সর্বোচ্চ শতরান করেন। টেস্ট দলের অধিনায়ক গ্রুপে 25 টি ম্যাচের মধ্যে 4 টিতে জয়, 9টি পরাজয় ও 12 টি ম্যাচ অমীমাংসিত থেকেছে আর একদিনের ক্রিকেট ম্যাচে 73 টির মধ্যে 23 টিতে জয়,43 টি তে পরাজয়,2 টি টাই ও 6 টি ফলাফলবিহীন হয়েছে। 2011-তে বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ভারত যে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করে সে ব্যাপারেও তাঁর ভূমিকা অন্যূন নয়।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ এর বিভিন্ন ধরনের খেলায় তিনি অংশগ্রহণ করে (আন্তর্জাতিক টি-20 বিয়ান প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্রভূতি) এবং 2013 খ্রিস্টাব্দে তার থেকে অবসর নেন। মোটম্যাচের সংখ্যা 92, রান করেছেন 2609, শতরান একটি এবং অর্ধ-শতরান 14 টি ।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের বিরুদ্ধে 2011 -তে তার একমাত্র টি-20 শতরান করেন।
শচীনের অবসর গ্রহণ
শচীন নিজের দক্ষতা উপলব্ধি করে খেলায় অবসরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 2012 তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার সময় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। 463 ম্যাচ খেলে 18,426 রান, 49 টি শতরান 1796 অর্ধ-শত রান, করে একদিনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। 200 টি টেস্ট ম্যাচ খেলে 15921 রান করে 51টি শতরান, 1768 অর্ধ-শত রান এবং সর্বোচ্চ 248 রান করে বিদায় নেন। 2013 এর 14 নভেম্বর শেষ টেস্ট ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তার স্বপ্নের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। শুধু তাই নয়, ক্রিকেট বিশ্বের বিস্ময় শচীনকে 46 এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে উইকেট দখল করে একজন বিশিষ্ট অলরাউন্ডার ক্রিকেটার মহাজাগতিক ক্রিকেট জীবন সমাপ্ত করেন।
সম্মাননা
শচিন রমেশ তেন্ডুলকর হলে এমন এক অসাধারণ কুশলী ক্রিকেটার যিনি ক্রিকেট – বিশ্ব রেকর্ডের পর রেকর্ড বিয়ে অসামান্য রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। সেই মহাকাব্যিক মহানায়ককে পুরস্কৃত করে সম্মানিত করেছেন বহু প্রতিষ্ঠান, সরকার তথা দেশ।তার পুরস্কার ও সম্মাননা সুদীর্ঘ তালিকা হলো –
- 1.স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি (2010 সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার)
- 2. ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত পদ্মবিভূষণ সম্মান (2008)
- 3. রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার (1997)
- 4. মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক প্রদত্ত