পৃথিবীর আদিকাল থেকে ধনবান উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ শাসকের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয় শোষণের কাজ করেছে। শাসনকার্য ঠিকমতো করার বদলে তারা শাসক রূপে অবর্তীর্ণ হয়ে নিজেদের অর্থ বৃদ্ধির দিকেই বেশি করে ঝুঁকেছেন। ফলে পৃথিবীর আদিকাল থেকে এইসব উচ্চবিত্ত ব্যক্তিগণ নিজেদের অর্থলিপ্সা কে পূর্ণ করার চেষ্টা করে ।ফলে তাদের অর্থের প্রতিপত্তি থাকা সত্ত্বেও তারা আরো বেশি চায় ও কাঙালের ক্ষুদ্র ধনটুকু ও চুরি করে নেয় ।
মানুষের আকাঙ্ক্ষার কোন শেষ নেই ।মানুষ যত পায় তার আকাঙ্ক্ষার পারদ ততবেশি চড়তে থাকে । মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার কোন সীমারেখা নেই ,যেখানে গিয়ে তাদের এই আকাঙ্খার পারদ থেমে যেতে পারে ।তাই যার কাছে যত বেশি আছে সে তার থেকেও বেশি ধন-দৌলত ও সম্পদ লাভের চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত করে ।
আসলে মানুষের ভোগস্পৃহা ও অর্থলিপ্সা কোন শেষ নেই। তারা এই ভোগস্পৃহা ও অর্থলিপ্সা বশবর্তী হয়ে নিজেদের আত্মসত্ত্বা কে হারিয়ে ফেলে নিজেদেরকে লোভানলে আহুতি দিতে সদা ব্যস্ত থাকে ।মানুষ তার এই অন্তবিহীন চাহিদার বশবর্তী হয়ে দরিদ্রের শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে দরিদ্র হতে থাকে দরিদ্রতর আর ধনী হয় অধিক বিত্তশালী। দুর্ভাগ্যবশত এইসব লোভাতুর মানুষদের এইদিকে কোন লক্ষ্য থাকে না ।কারণ লোভের ঝুলি তাদের বিবেক ,বুদ্ধি ও স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গিকে এমন ভাবে আচ্ছন্ন করে থাকে যে তারা অন্যের দুঃখ কষ্ট বা অর্থহীনতা কে দেখতেও পায় না। মরীচিকার দিকে ছুটে যাওয়ার মত তারাও অর্থের পিছনে অভিরাম ছুটতে থাকে। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের পৃথিবীতে এইরকম লোকের সংখ্যাই বেশি।