[ad_1]
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪
ডিজিটাল যুগে দিনের বড় একটা অংশ ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে কাটাচ্ছেন অনেকেই। মোবাইল বা ল্যাপটপ ছাড়া চলেই না। কিন্তু তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ডিসিডিএক্স-এর ‘অ্যানুয়াল জেন জেড স্ক্রিন টাইম ২০২৩’ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে তরুণদের দৈনিক স্ক্রিনটাইম ছিল ৭ ঘন্টা ৭ মিনিট।
দিন দিন বাড়ছে স্ক্রিনটাইম
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তরুণদের স্ক্রিনটাইম প্রায় ৭ শতাংশ বেড়েছে। গোটা একটা সপ্তাহে তরুণদের স্ক্রিনটাইম ছিল মোট ৪৯ ঘন্টা ৭ মিনিট। সারা বিশ্বের গড় স্ক্রিনটাইমের তুলনায় জেন জেড তরুণদের স্ক্রিনটাইম ১০৪ শতাংশ বেশি।
কীসের পিছনে এত সময়
কাজের জন্য নয়, বিনোদনের জন্যই তরুণরা বেশি সময় স্ক্রিনে কাটাচ্ছেন। ইনস্টগ্রাম, ইউটিউব ও টিকটক এসব অ্যাপের পিছনে বেশি সময় যাচ্ছে তাদের। মেসেজিং অ্যাপও ব্যবহারের সময় বেড়েছে।
নোটিফিকেশন দেখার প্রবণতা কমছে
তবে আগের চেয়ে তরুণদের মধ্যে নোটিফিকেশন দেখার প্রবণতা কমছে। ১৫-২০ বছর বয়সিদের দিনে ২৩১টি নোটিফিকেশন এলে ১৫৬টি চেক করে। ২১-২৭ বছর বয়সিদের দিনে ২১০টি নোটিফিকেশন এলে ১৫২টি দেখে।
মহিলারা এগিয়ে
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের স্ক্রিনটাইম বেশি। মহিলাদের দিনে ৭ ঘন্টা ৪৪ মিনিট স্ক্রিনটাইম থাকে। অন্যদিকে পুরুষদের দৈনিক স্ক্রিনটাইম ৫ ঘন্টা ৫৫ মিনিট।
উপসংহার
ডিজিটাল যুগে তরুণদের স্ক্রিনটাইম বাড়ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে। তাই তরুণদের স্ক্রিনটাইম নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
শারীরিক স্বাস্থ্যের সমস্যা
দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে তরুণদের চোখের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা
দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে তরুণদের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, হতাশা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ক্রিনটাইম নিয়ন্ত্রণের উপায়
- নিজের স্ক্রিনটাইম ট্র্যাক করুন। প্রতিদিন কতক্ষণ স্ক্রিনের সামনে কাটাচ্ছেন তা নোট করুন।
- স্ক্রিনটাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্ক্রিনের সামনে থাকার চেষ্টা করুন।
- স্ক্রিনটাইম কমাতে সাহায্যকারী অ্যাপ ব্যবহার করুন। এসব অ্যাপ আপনাকে স্ক্রিনটাইম কমিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
- স্ক্রিনটাইম কমাতে পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নিন। পরিবারের সদস্যরাও আপনাকে স্ক্রিনটাইম কমাতে সাহায্য করতে পারে।
উপসংহার
ডিজিটাল যুগে স্ক্রিনটাইম নিয়ন্ত্রণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তরুণদের স্ক্রিনটাইম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। সরকার, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে।
[ad_2]