প্রতিদিন ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?
ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য উপকারী উপাদান। তাই অনেকেই মনে করেন যে, প্রতিদিন ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
পুষ্টির ভাণ্ডার ডিম
একটি ডিম থেকে পাওয়া যায় মোটামুটি ৭২ ক্যালোরি, ৫ গ্রাম ফ্যাট, ২০৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৬৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ০৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ৬ গ্রাম প্রোটিন। সেই সঙ্গে এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম এবং আয়রনের মতো অত্যন্ত উপকারী কিছু ভিটামিন এবং খনিজের ভাণ্ডার।
প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত?
কলকাতা শহরের রুবি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান স্বাগতা মুখোপাধ্যায়ের মতে, যে কোনও মানুষ দিনে একটা গোটা ডিম খেতেই পারেন। তাতেই শরীরে অ্যালবুমিন নামক একটি প্রোটিনের ঘাটতি মিটে যাবে। এমনকী ডায়াবিটিস, হাই প্রেশারের মতো অসুখ থাকলেও রোজ একটা গোটা ডিম খাওয়াই যায়।
কোলেস্টেরল থাকলেও ডিম খেতে পারেন
অনেকেই মনে করেন, ডিম খেলে বোধহয় কোলেস্টরল বাড়বে। তবে কথাটা আংশিক সত্য বলেই জানালেন স্বাগতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ডিমের কুসুমে খারাপ কোলেস্টেরল থাকলেও তা খুবই নগণ্য মাত্রায় রয়েছে। তাই দিনে একটা ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা তেমন একটা থাকে না বললেই চলে। তবে কোলেস্টেরল রোগীরা দিনে একটার বেশি ডিম খাবেন না।
দিনে কতকগুলি ডিম খাওয়া উচিত?
বয়স কম থাকলে দিনে ২ টো ডিম অনায়াসে খাওয়া যায়। তবে বয়স ৩৫-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেলে ১টা ডিম গলাধঃকরণ করার মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখার চেষ্টা করুন। তাতেই শরীর থাকবে সুস্থ-সবল। আর ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, কোলেস্টেরল থাকলেও দিনে একটা ডিমই খেতে হবে।
বিপদের নাম অ্যাভিডিন
অনেকেই হাফ বয়লে বা ডিমের পোচ করে খেতে ভালোবাসেন। তবে এভাবে অর্ধসিদ্ধ ডিম খেলে শরীরে প্রবেশ করতে পারে অ্যাভিডিন নামক একটি উপাদান। আর মুশকিল হল, আমাদের শরীর কিন্তু এই উপাদানটিকে হজম করতে পারে না। ফলে হাফ বয়েল বা পোচ খাওয়ার পর গ্যাস-অ্যাসিডিটির ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এবার থেকে ডিম খেতে হলে তা সিদ্ধ করেই খাওয়ার পরামর্শ দিলেন