পৃথিবীতে অনেক ধরনের পাখি দেখা যায় । তাদের মধ্যে অন্যতম হলো পেঁচা । সে সকালে গাছের কোটরে ভিতর থাকে ও রাতে শিকারের অভিলাষে বের হয় । প্রকৃতপক্ষে পেঁচা দিনের আলো সহ্য করতে পারে না ,তাই সে দিনের আলোয় বেরোয় না ।কিন্তু সে নিজের অক্ষমতা ও দুর্বলতাকে গোপন করার জন্য প্রচার করে যে , সূর্যের সঙ্গে তার শত্রুতার জন্যই সে দিনের বেলা বের হয়না। সে রাত্রে বের হয় কারণ চাঁদের সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা নেই। সে তার অক্ষমতা ও অসমর্থ তাকে সবদিক থেকে লুকিয়ে রাখে।
দুষ্টু লোকের ছলের অভাব হয় না ,পৃথিবীতে সবাই প্রতিভাবান হয়না । কিন্তু দুর্বল ,অক্ষম ব্যক্তিগণ নিজেদের অক্ষমতা ও অকর্মণ্যতা এবং অন্তঃসারশূন্য তাকে ঢেকে রাখতে চায় । আর এর জন্য তারা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে তাদের অব্যবস্থার নানা ব্যাখ্যা দেয়, যা তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য মনগড়া হিসেবে গঠিত হয়েছে। তারা নিজেদের দুর্বলতা কে লুকিয়ে রাখার জন্য তাদের অক্ষমতা মনগড়া ব্যাখ্যা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুণীজনের ও নিন্দা করে। এই নিন্দা তাদের ঈর্ষা থেকেই সৃষ্টি হয় ।ফলে উচ্চমনা মানুষের পাশে পাশে বাস করে নিচু মনা কুটিল মানুষরা ।যাদের মন অন্ধকারাচ্ছন্ন সংকীর্ণতা ও হৃদয় অবজ্ঞা পূর্ণ ।ফলে তারা গুনি মানুষের গুণ কে প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অক্ষমতাকে প্রকাশ করে করার বদলে লুকিয়ে রেখে গুণীর অপমান করে ,তার নিন্দা করে ,যা সত্যই নিন্দনীয়। কিন্তু এই ব্যাক্তিরা জানে না যে আলোর উজ্জ্বল প্রকাশকে কখনোই সামান্য অন্ধকারে ঢাকা যায় না । তাই সর্বদায় বেরিয়ে আসে। তাদের এই মিথ্যা ব্যাখ্যা বারবার তাদের কাছেই প্রতিধ্বনির মতো ফিরে আসে। ফলে মানুষ সহজেই এই কুটিল ব্যক্তিদের স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে। ফলে এইসব মানুষের ব্যবহার অন্যদের কাছ সহজেই হাস্যস্পদ হয়ে ওঠে । সমাজের কাছেও প্রশংসার ভাগীদার হতে পারে না।