সুজন : আমাদের আকাঙ্ক্ষিত গ্রীষ্মের ছুটি অবশেষে পাওয়া গেল । ছুটিতে কোথায় বেড়াতে যাবে ঠিক করেছ?
সুমন : আমি কক্সবাজারে যাব ঠিক করেছি । তুমি কোথায় যাবে?
সুজন : আমি আমার গ্রামের বাড়ি যাব ঠিক করেছি । বাবা-মাও যাবেন ।
সুমন : গ্রামের বাড়ি! গ্রামে তো এ সময় অনেক গরম থাকবে । তাই না?
সুজন : অনেক গরম তা ঠিক । তবে এটিতো বাংলার প্রকৃতির রূপ । এটাকে আমি পছন্দ করি । প্রচণ্ড গরমে অস্থির হয়ে ছেলে-বুড়ো যখন বাড়ির পশ্চিম পাশে বাঁশের মাচায় বসে থাকে এবং খোলা মাঠের হাওয়া শরীরে লাগে তখন শরীর ও মন প্রশান্তিতে ভরে যায় । সকালে-বিকালে নদীর পারে ঘুরতে গেলে নদীর ঠান্ডা বাতাস শরীর জুড়িয়ে দেয় । নদীর দুপাড়ের মনোরম দৃশ্যে চোখ জুড়িয়ে যায় ।
সুমন : তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে গ্রামের প্রকৃতি সত্যিই খুব আকর্ষণীয় ।
সুজন : হ্যাঁ বন্ধু, তুমি গ্রামে না গেলে প্রকৃতিকে এত কাছ থেকে দেখতে পাবে না ।
সুমন : আমি কখনো গ্রামে যাইনি । অবসরে শুধু দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে যাই ।
সুজন : বন্ধু, আমার দেশের প্রতিটি গ্রামই দর্শনীয় ও উপভোগ্য । গ্রীষ্মের দুপুরে নিস্তব্ধ পুকুর পাড়ে বসে থাকার যে কী মজা! গাছ থেকে পাকা আম পেরে খাওয়া, কাঁচা আমের ভর্তা খাওয়া, পাকা জাম ঝেঁকে খাওয়া, আনারস, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে মেখে খাওয়ার যে কী মজা!
সুমন : তোমার কথা শুনে কিন্তু আমার লোভ হচ্ছে ।
সুজন : লোভ দেখানোর জন্যই তো বলছি । চলো না বন্ধু এক সাথে গ্রামের বাড়ি যাই ।
সুমন : মা রাজি হবেন কি না জানি না!
সুজন : খালাম্মাকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার । চলো তার কাছে যাই ।
সুমন : চলো যাই ।