সেবাই পরম ধর্ম।অপরের সেবা করা প্রতিটি মানুষের কর্তব্যখ কিন্তু সেবা মানে কেবলমাত্র হাত দিয়ে সেবা তা নয়, সেবার মধ্যে আন্তরিকতা থাকতে হবে। সেবার মধ্যে হৃদয়ের স্পর্শ না থাকলে সেই সেবা হয়ে যায় নিরর্থক। মন যদি না চায়, কেবলমাত্র বিশেষ কারণে কেউ যদি কারোর সেবা করে তাহলে সেই সেবা সুন্দর হয় না। দানে যদি শ্রদ্ধা না থাকে তবে রাজভোগ দিলেও সে দানের মহত্ব থাকেনা। অনিচ্ছায় কোন কাজ ঠিকমতো হয় না, জোর করে কিছু করালেও সে কাজে খুঁত থাকে। শ্রদ্ধাসহ কোন কাজ না করলে সে কাজেও সৌন্দর্য রক্ষিত হয় না।
দানের মধ্যে অশ্রদ্ধার ভাব থাকলে দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে পার্থক্যের অবসান ঘটে না। এই পার্থক্যের অবসান না ঘটলে এদের পারস্পরিক কোন কাজই মধুর ভাবে সমাপ্ত হয় না। তেমনি সেবক এবং সেবিতের মধ্যে যদি মনের টান না থাকে তাহলে সেবাদান ও সেবা গ্রহণ কাজ ও মধুর হয় না। আসলে আন্তরিকতাহীন কোন কাজই সুষ্ঠু হয় না।
শ্রদ্ধা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহীতাকে যা কিছুই দেওয়া হোক না কেন সেই দানের সার্থকতা প্রকাশ পায়। কিন্তু অশ্রদ্ধায় কেউ কাউকে রাজভোগ দিলেও তা বিষবৎ মনে হয়। কাউকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দান করলে দানের মর্যাদা রক্ষিত হয়। কিন্তু কাউকে অশ্রদ্ধার সঙ্গে কিছু দান করলে, সেই দানের কোন মর্যাদা থাকে না।
তাই শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সঙ্গে মানুষের সেবা করা উচিত। এটাই হলো প্রকৃত সেবা। আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দাতা এবং দান গ্রহণকারীর মধ্যে প্রভেদ মুছে দেয়। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে অপরের সেবা করা।