এই পৃথিবীতে বহু প্রকৃতির মানুষ বসবাস করে। কিছু মানুষ আছে যারা স্বভাব বিদ্বেষী এবং হিংসাপরায়ণ, কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই এরা অপরকে হিংসা করে। এমনকি যে সমস্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে এরা উপকৃত হয় তাদেরও ক্ষতি করতে এরা ভয় পায় না। এই সমস্ত মানুষেরা অপরের ক্ষতি করতেই বেশি আগ্রহী। কিন্তু এই সমস্ত মানুষের পাশাপাশি এই পৃথিবীতে কিছু হৃদয় বান, চরিত্রবান, বিবেকী, উদার চেতনাসম্পন্ন, স্নিগ্ধ মতি হিংসা শুন্য মানুষও আছে। এঁরা আছে তাই সমাজ-সংসার আজও বাসপযোগী।
স্বভাব বিদ্বেষী, স্বার্থান্বেষী মানুষেরা নিজের স্বার্থের জন্য অপরকে করে নির্যাতিত,নিপীড়িত, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত। এর ফলে বহু মানুষ হয় শোষিত। কিন্তু স্বার্থত্যাগী মানুষেরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়না। স্বভাবতই এই সমস্ত মানুষ জনেরা দুর্জনের কাছ থেকে আঘাত পেলেও সেই আঘাতের প্রত্যুত্তরে কোন প্রত্যাঘাতের প্রশ্ন তাঁদের উদার হৃদয় আসে না। এইখানেই সেই সমস্ত মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। এই সমস্ত গুণমান মানুষজন সুন্দর দৃষ্টিতে অপরাধীদের সকল অপরাধ ক্ষমা করে দেন। এই সমস্ত মানুষ মহান হয়ে থাকেন।এঁরা মানুষের অবয়বে কোন নিম্ন শ্রেণীর প্রতিহিংসাপরায়ণ জীব নন। যেদিন এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ হিংসা,ত্যাগ করবে সেদিন হিংসার ফলে সৃষ্ট বিভেদের প্রাচীর যা এক মানুষকে অপরের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে তা ধ্বংস হবে। মানুষ সেদিন সমস্ত হিংসা ও বিদ্বেষ ভুলে মৈত্রীর বন্ধনে মিলিত হবে। মানুষ যদি অপরের অপরাধ ক্ষমা না করে অপরাধীকে পাল্টা আঘাত করে তাহলে মানুষের মধ্যে মানবিকতার বদলে পাশবিকতা ফুটে ওঠে। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত প্রতিহিংসাপরায়ণ না হওয়া এবং অপরের অপরাধ মার্জনা করে দেওয়া।